১৩ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার একটি আদালত। আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এই রায় ঘোষণা করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হেরি উইরাওয়ান। তিনি একটি বোর্ডিং স্কুলের মালিক। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের সবার বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
বিবিসি ও ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সাল থেকে একে একে ১৩ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন হেরি। পরে তাদের মধ্যে আটজন অন্তঃসত্ত্বা হয়। তাদের মধ্যে কেউ সন্তানও জন্ম দেয়। এ ঘটনায় একজন অভিভাবক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরই বিষয়টি সামনে আসে।
বিচারের সময় প্রকাশ পায়, ওই বোর্ডিংয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া এক ছাত্রীকে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করেন তার শিক্ষক হেরি।
ধর্ষণের ঘটনা আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি হিসেবে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় হেরিকে খোজা করা ও মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছিলেন প্রসিকিউটররা। পাশাপাশি ভুক্তভোগীতের জন্য অন্তত ২১ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
তবে রায় ঘোষণার সময় আদালত জানায়, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ সরকার দেবে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এই রায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবিসি / ডন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।